মোস্তাফিজার বাবলু: রমেক হাসপাতালের শিশু বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্যমতে, গত ২৮ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত এক সপ্তাহে ১৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নার্স ও চিকিৎসকদের দাবি, শুধু শীতজনিত রোগে এসব শিশুর মৃত্যু হয়নি। শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, হাঁপানি, অপরিপক্ক ও কম ওজনের নবজাতক এবং জন্মের সময় মস্তিষ্কে আঘাতজনিত কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে। সাধারণত শীতকালে শিশুরা এসব রোগে আক্রান্ত হয় বেশি।

হাসপাতালে ভর্তি রোগীর বেশিরভাগই গ্রাম থেকে আসা। শিশু বিভাগ সূত্র জানায়, দুইটি শিশু ওয়ার্ডে গত দুই সপ্তাহ ধরে শিশু রোগী ভর্তির সংখ্যা শয্যার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। যাদের বয়স একদিন থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত। শীতের আগে এই ওয়ার্ডে এভাবে এত রোগী দেখা যায়নি। 

শীত যতই বাড়ছে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যাও বাড়ছে। হাসপাতালের শিশু বিভাগের রেজিস্ট্রার ডা. তানভীর চৌধুরী জানান, গত সপ্তাহের চেয়ে চলতি সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা কম। আগের সপ্তাহে ৪ শতাধিক রোগী সেখানে চিকিৎসা নিয়েছে। 

্এদিকে শীত নিবারণে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ ২ নারী রমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বর্তমানে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে অগ্নিদগ্ধ ৩৩ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কারো কারো শরীরের ৮০ শতাংশ, আবার কারো শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে। অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা বেশি। 

রংপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. শামীম আহমেদ বলেন, শীতের কারণে নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগের প্রকোপ দেখা দেয়। বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা শিশুদের মধ্যে যাদের অবস্থা সংকটাপন্ন মনে হচ্ছে, তাদের ভর্তি করা হচ্ছে। তবে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

রংপুর আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রংপুর অঞ্চলে ১৩ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। বুধবার রংপুরে সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব